কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অধ্যাপক আবুল বারকাত কারাগারে

দুদকের মামলায় অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছবি : কালবেলা
দুদকের মামলায় অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছবি : কালবেলা

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে দুদকের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন দুপুর ২টা ২২ মিনিটের দিকে আসামিকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। এরপর দুপুর ২টা ৪৯ মিনিটের দিকে আদালতের এজলাসে তোলা হয় বারকাতকে। বিচারক এজলাসে ওঠেন বিকাল ৩টা ৪১ মিনিটে। এ সময় অধ্যাপক বারকাতকে আদালতের বেঞ্চে বসানো হয়। তার পাশে তার মেয়েসহ স্বজনরা বসে ছিলেন। মাঝেমধ্যে নাতিকে কোলে নেন আসামি বারকাত।

এদিকে বিচারক এজলাসে আসার পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়নসহ আরও কয়েকজন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আউয়াল জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্টে (ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কোর্ট) হবে জানিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও আবুল বারকাত পরস্পর যোগসাজশে জালজালিয়াতির মাধ্যমে এননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে এই টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। আতিউর রহমান, তার সহযোগী অন্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন অনৈতিক কৌশলে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে আবুল বারকাতকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, আসামি বারকাতের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি, মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে জনতা ব্যাংক থেকে মর্টগেজ নেওয়া জমিতে বাস্তবে কোনো ভবন বা কারখানা না থাকা সত্ত্বেও ঋণগ্রহীতা মালিক হওয়ার পূর্বেই জমিতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে দুদক থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আসামি জামিন পেলে আত্মগোপন করতে পারেন এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে হবে : গোলাম পরওয়ার

অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটছে : সনাতনী জোট

মালিকানা জটিলতায় ইউরোপা লিগ থেকে বাদ ইংলিশ ক্লাব

‘এই দৃশ্য জাহেলিয়াতের নিষ্ঠুরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়'

মিটফোর্ডের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিবের নিন্দা ও প্রতিবাদ

হত্যার চিরকুট নিয়ে মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে জখম

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিন্ন লক্ষ্য

‘ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি’

হকিতে লিড নিয়েও জাপানের কাছে হার বাংলাদেশের

‘সিরিয়াল কিসার’ তকমা পছন্দ করেন না ইমরান হাশমি

১০

দাবায় চ্যাম্পিয়ন সুব্রত বিশ্বাস

১১

ভোটের অপেক্ষায় দিন গুনছে দেশের মানুষ : ড. ফরিদুজ্জামান

১২

এসএসসিতে ১৩০০ নম্বরে ১২৮৫ পেয়েছে নিবিড়

১৩

জোতাকে স্মরণ করে মাঠে নামছে লিভারপুল

১৪

ইরানে ‘ভয়াবহ হামলার’ হুমকি ইসরায়েলের

১৫

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যায় ছাত্রদল সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া

১৬

লর্ডসে উইকেট পেয়ে প্রয়াত জোতাকে স্মরণ ভারতীয় পেসারের

১৭

ঐকমত্যে পৌঁছলে ৫ আগস্টে জুলাই ঘোষণাপত্র : আসিফ মাহমুদ

১৮

জনসমক্ষে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী

১৯

লর্ডসে শরফদৌল্লার ওপর যে কারণে খেপলেন গিল!

২০
X