‘নিজের কাজ ফেলে ফেসবুক-টিকটকে কী করে পুলিশ’ শীর্ষক শিরোনামে গত ৭ জুন দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা।
প্রতিবাদ করে তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থি ও অপরাধমূলক।
৭ জুন ২০২৪ তারিখে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক অনলাইন ভিডিও সংবাদ (https://youtu.be/g 19Rqpm0ig?si=M12TrpVhYGa6fg3f) পরিবেশন করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রমকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবশ্যই সংবাদ মাধ্যমটির যেকোনো সংবাদ পরিবেশনের অধিকার আছে। কিন্তু সে সংবাদ যদি হয় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক, তা অবশ্যই সাংবাদিকতা নীতিমালার পরিপন্থি, নিন্দনীয় ও অপরাধমূলক কাজ। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মামলা হতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ বা ভিডিও পরিবেশনের মাধ্যমে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের চেষ্টা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত নিজের কাজ ফেলে ফেসবুক-টিকটকে কী করে পুলিশ। শীর্ষক একটি ভিডিও আমার নজরে আসে। যেখানে কতিপয় পুলিশ সদস্যের আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি দেখানোর পর একজন ডিআইজির কথা বলা হয় কিন্তু কারো নাম উল্লেখ না করলেও হঠাৎ করে শুধু আমার নাম বলা হয় এবং একটি টিকটক আইডির (https://www.tiktok.com/@sp.nadiya.farzana.216?_t=8n1mwUwhU2M&_r=1) উল্লেখ করা হয় যা একটি ফেক টিকটক আইডি (৪ মিলিয়ন ফলোয়ার সংবলিত)। ফেক আইডিগুলো প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি, সেনাপ্রধানসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ছবি ব্যবহার করে অনবরত ফেসবুক-টিকটক আইডি খুলে ভিডিও তৈরি করে এবং বিভিন্নভাবে প্রচার করে। ফেসবুক, টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমার ছবি ব্যবহার করে শত শত ফেক আইডি প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতকারীরা খুলছে, যেগুলোর বিরুদ্ধে আগেও বহুবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমার একমাত্র ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে আমি এর সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে প্রতিনিয়ত পোস্ট করে থাকি। ফেক টিকটক আইডিকে আমার আইডি বলে প্রচার করার পূর্বে আমাকে একবারও জিজ্ঞাসা করা হয় নাই। এটা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। প্রতিবেদনটিতে বানোয়াট মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আমার ব্যক্তি ও সামাজিক মর্যাদাকে আঘাত করার হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। ফেক আইডি সম্পর্কে কোনরকম ধারণা না নিয়ে একজন পেশাদার অফিসারের আইডি বলে চালিয়ে দেয়া অপরাধ। পরে ভিডিওটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও তার পূর্বেই এটি ডাউনলোড করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আপলোড করা হচ্ছে।
সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির বিবেক, তাই প্রকৃত তথ্য যাচাইবাছাই না করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন