‘ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে বললেন গুনে নেওয়া সুন্নত’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় গত ১০ জুন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের খুলনা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আনিসুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রকৌশলী এ কে এম আনিসুজ্জামানের দেওয়া প্রতিবাদে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক এবং অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে ‘ঘুষের ১৬ লাখ টাকা ফেরত’ প্রদান মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে আমার বক্তব্য হলো যশোর জেলাতে চাকরিকালীন ঠিকাদার মো. আবুল কালাম গাজীর কাছ থেকে জরুরি প্রয়োজনে দুই লাখ টাকা ধার নেওয়া হয়। অল্প দিনের মধ্যে বদলিজনিত কারণে আমি খুলনায় দায়িত্ব গ্রহণ করি। খুলনায় এসে ঠিকাদার মো. আবুল কালাম গাজীকে আমি ধারের টাকাগুলো ফেরত নিয়ে যেতে একাধিকবার অনুরোধ করি। একপর্যায়ে তিনি খুলনায় এলে আমি ধারের দুই লাখ টাকা তাকে ফেরত দেই। ওই দিন আমার ব্যস্ততা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কাজ থাকায় ঠিকাদারের গাড়িতে বসে টাকা ফেরত দেই এবং কথোপকথোনের একপর্যায়ে টাকাগুলো গুনে নেওয়ার কথা বলি।
এ সময়ে ওই ঠিকাদার আমাকে তার নিজ হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এবং বলে আমাকে একটা কাজ দিলে টাকাটা ফেরত নেওয়া লাগত না। আমি তার প্রস্তাব দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য গাড়িতে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে এবং সাংবাদিকদের কাছে এই মিথ্যা তথ্যের ভিডিও সরবরাহ করে।
গত ৯ জুন কালবেলা অনলাইনে ভিডিও প্রচারিত হয় এবং ১০ জুন সংবাদ আকারে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আমি দারুণভাবে মর্মাহত ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাছাড়া আমাকে নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন