বাবা নতুন এক বাংলাদেশ রচিত করতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভাস্বর ব্যক্তিত্ব মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় তাজউদ্দীন আহমদের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী স্মরণানুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ সেমিনার হলে এ মন্তব্য করেন তিনি। সিমিন হোসেন রিমি বাবা সম্পর্কে বলেন, স্বাধীন বাংলায় তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের নিরন্ন দুঃখী মানুষের জন্য রচিত হোক এক নতুন পৃথিবী। যেখানে মানুষ মানুষকে শোষণ করবে না। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক ও ক্ষুধা, রোগ, বেকারত্ব ও অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে মুক্তি। এই পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত হোক সাড়ে সাত কোটি নির্ভীক ভাইবোনের সম্মিলিত মনোবল ও অসীম শক্তি। যারা তাদের রক্ত দিয়ে উর্বর করছে বাংলাদেশ। যেখানে উৎকর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন মানুষ। তাদের রক্ত ও ঘামে ভেজা মাটি থেকে গড়ে উঠবে নতুন গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা রচিত করতে চেয়েছিলেন নতুন এক বাংলাদেশ। শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুনভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মানবতার আধার।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তাজউদ্দীন আহমদের জীবনের উল্লেখ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকবে। এই রাজনীতিবিদকে খন্দকার মোশতাক গঙ্গদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র, অপরদিকে তরুণ ছাত্র-যুব-নেতাদের বিরুদ্ধাচারণের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর সভ্যতা বিবর্জিত জেলহত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ট্রাজিক হিরোর জীবনাবসান ঘটেছে। তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে রচিত উপন্যাস ‘সাক্ষী ছিল শিরস্থান’-এর লেখক সুহান রিজওয়ান বইটি নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন