স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপরই নাম বদলের প্রতিবাদ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। সোমবার (২ জুন) বিকেলে নাম পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাজউদ্দীন আহমদ কলেজের নাম পরিবর্তন বিষয়ে আমাকে ট্যাগ করে পোস্ট দিয়েছেন, যদিও এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। মন্ত্রণালয়ের কাজে ট্যুরে থাকায় এই বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারিনি। আজকে শিক্ষা উপদেষ্টা আবরার ভাইয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়। উনি স্পষ্ট বলেছেন, তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন না করার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের ব্যাপারে আমাদের শ্রদ্ধাও সেরকমই। মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই কোনো বিপরীতধর্মী বিষয় না। যে গণতান্ত্রিক, জুলুমহীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেটা বাস্তবায়ন হয়নি বলেই জুলাই এসেছিল এ বাংলাদেশে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পোস্টে উল্লেখ করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ আর জুলাইকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় তাদের উদ্দেশ্যই হলো মুক্তিযুদ্ধের আড়াল নিয়ে ১৬ বছরের অপকর্ম ঢাকা। কিন্তু সত্য হলো- এ মুক্তিযুদ্ধের চাদরে ঢাকা যাবে না গুমের শিকার শত শত পরিবারের আহাজারি, বিডিআর কার্নেজ, ব্যাংক লুট, ভোট, গুম, আর হাজারে হাজার সরকারি খুন।
মন্তব্য করুন