ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৫ এএম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

স্যার ফজলে হাসান আবেদ : ব্র্যাকের বিস্ময়

স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি : সংগৃহীত
স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানবাধিকার, নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের লক্ষ্যে ব্র্যাকের নানা কর্মসূচির কথা আজ অনেকেরই অজানা নেই। আশির দশকে বাংলাদেশের শিশুদের টীকা দেওয়ার কাজটি শুরু করেছিল ব্র্যাক। ডায়রিয়ায় মৃত্যু বন্ধ হয়েছিল ব্র্যাক বাড়ি বাড়ি খাবার স্যালাইন নিয়ে যাওয়ায়। ১৯৬৮ সালে খাবার স্যালাইন আবিষ্কার হলেও অনেকেই জানত না। সারা বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে একজন নারীকে লবণ-গুড়ের স্যালাইন বানানো শেখাতে ব্র্যাকের সময় লেগেছিল ১০ বছর।

মিলেনিয়াম ডেভালপমেন্ট গোলের অন্যতম দুটি সূচকে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্যের নেপথ্যে ছিল বা আছে ব্র্যাক। গর্ভবতী মায়েদের মৃত্যু কমাতে এবং শিশুমৃত্যুর হার কমানোর জন্য টীকা প্রদানের যে কর্মসূচি তাতে ব্র্যাকের রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৮০ সালেই ব্র্যাক সরকারকে টীকা শুরুর প্রস্তাব দিলেও সরকার ১৯৮৬ সালে পুরোদমে কাজটি করতে রাজি হয়। সরকার ব্র্যাককেই বাংলাদেশের তৎকালীন চার বিভাগের মধ্যে দুটিতে কাজ করার সুযোগ ও স্বীকৃতি দেয়। বাকি দুটিতে সরকার। প্রসঙ্গত যে দুই বিভাগে ব্র্যাক কাজ করেছিল, সেখানে ৮০ শতাংশ শিশুর টিকাদান সম্পন্ন হয়েছিল। এ জন্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সপ্রশংস স্বীকৃতি লাভ করে ব্র্যাক। দেশজুড়ে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে এই টীকা কার্যক্রমের ভূমিকা বিশাল। এম ডিজির এ দুই সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য ভারতের চাইতেও বেশি মন্তব্য নোবেল বিজয়ী অমর্ত সেনের (১৯৩৩ - )।

ব্র্যাকের উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর কাজটিও মুগ্ধকর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি বাংলাদেশের ৩০ লাখ শিশু-কিশোর (যার ৫৫ শতাংশ মেয়ে) এ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। ৪, ৮৯, ৫৫৯ জন শিশু প্রি-প্রাইমারি শিক্ষার আওতায় এসেছে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা ও পরিচালনার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকদের জন্য ব্র্যাক নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ৩ হাজারেরও অধিক গণকেন্দ্র পাঠাগার, প্রায় সাড়ে আটশ ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার এবং প্রায় ১০ হাজার কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো কিশোরীদের জন্য জীবিকা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ব্র্যাক দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্যও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

‘উৎকর্ষের অনুপ্রেরণা’ এই নীতিবাক্য নিয়ে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গৌরবদীপ্ত প্রতিষ্ঠান । এখানে রয়েছে তিনটি স্কুল ( ব্র্যাক বিজনেস, ব্র্যাক ল, জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ), চারটি ইনস্টিটিউট (ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেস, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ), চারটি কেন্দ্র ( জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত গবেষণা কেন্দ্র, উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োগ গবেষণা কেন্দ্র এবং পেশাগত উন্নয়ন কেন্দ্র) আর ৮টি অনুষদ (স্থাপত্য, অর্থনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান, ইংরেজি, গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, ফার্মেসি, কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং)।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ব্যাংক একটি কর্মক্ষমতাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রত্যেক কর্মতৎপরতার অন্তত- সারে এর মূল্যবোধ নিহিত। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের যাত্রা শুরু। ব্র্যাক ব্যাংকের ঋণ-গ্রহীতাদের প্রায় অর্ধেক অংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। ব্যাংকের উদ্যোক্তা ফজলে হাসান আবেদ এটা উপলদ্ধি করেছিলেন, অবহেলিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা দেশের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি লক্ষ্য করেন গতানুগতিক ধারার ব্যাংকগুলো এই খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং-খাত থেকে এসএমই উদ্যোক্তারদের অর্থ-প্রাপ্তি যখন প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে, তখনই ব্র্যাক ব্যাংক এগিয়ে আসে এবং ব্যাংকিং খাতে বাইরে থাকা এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের পদক্ষেপ নেয়। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালু (জিএবিভি)-এর একমাত্র সদস্য। ব্র্যাক ব্যাংকের রয়েছে থ্রি পি দর্শন- পিপল (মানুষ), প্ল্যানেট (গ্রহ) এবং প্রফিট (লাভ)। সারা দেশে ১৮৭টি ব্রাঞ্চে ৪৫৭টি এসএমই ইউনিট, ৪৪৭টি এটিএম বুথ আছে ব্র্যাক ব্যাংকের।

বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২.৬ কোটি লোককে ব্র্যাক তার উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৫১৯টি উপজেলায় ৭০ হাজারের বেশি গ্রামে ব্র্যাক তার কার্যক্রম পরিচালিত করছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্র্যাকের নিয়মিত কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। তা ছাড়া এর শিক্ষা কর্মসূচিতে খণ্ডকালীন চাকরির ভিত্তিতে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। ব্র্যাক তার উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত ১ কোটির বেশি দরিদ্র ব্যক্তিকে সংগঠিত করেছে। ব্র্যাক দরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে ব্যাপকভিত্তিক চিকিৎসা, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের হিসাব-পরিসংখ্যান মতে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন সুবিধা সেবা পেয়েছে ২, ৪০, ০৯৪ জন, টিবির লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে ২, ১১, ১৬৪ জনের, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে ১১, ৩৫৮ জনের। করোনা শনাক্তকরণ কর্মসূচিতে ব্র্যাক সরকারের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ব্র্যাক থেকে ৭০ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আর্থিক সেবা পেয়েছে। চরম দারিদ্র্য থেকে রেহাই পেয়েছে ১, ১১, ৫২৬ জন। ব্র্যাকের ঋণ কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৪ সালে এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ হয়েছে ৫.০৯ বিলিয়ন ডলার। ২০টি শহরের ৪০০ বস্তিতে ৯, ৮০, ০৮৬ জন বস্তিবাসী নিবন্ধিত হয়ে সেবা পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৩ হাজার ৭১৬ পরিবার সার্বিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের আওতায় এসেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি ও দুর্যোগ প্রশমন প্রশিক্ষণ লাভ করেছে ৭৪, ১৮৭ জন। দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে ১, ১২, ৯৬৩ জন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদেও সেবাদানে ব্র্যাকের নেতৃত্বদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ব্র্যাক থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার মা নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা, মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা লাভ করেছে ১, ০২, ০৬৭ জন, নিরাপদ মাইগ্রেশন ও প্রত্যাবর্তনে সহায়তা পেয়েছে ৮, ৪৯, ৮১৬ জন, দক্ষতা উন্নয়ন-চাকরি-ডিসেন্ট ওয়ার্ক প্রশিক্ষণ লাভ করেছে ১, ৬০ ৫৮১ জন। নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচির আওতায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে ৭৯, ৫৮৫ জন।

ব্র্যাক তার উপকারভোগীদের জীবিকা নির্বাহ ও উপার্জনমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং ভোগ্যপণ্যের বাজারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সম্প্রসারণের ওপরও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের নিজস্ব গ্রাম ও এলাকায় বৈষম্য দূরীকরণের উপযোগী করে তার সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। প্রসারমাণ বাজারের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র উৎপাদনকারীদের যোগসূত্র স্থাপনের লক্ষ্যে ব্র্যাকের রয়েছে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ। লুপ্তপ্রায় কারুশিল্পের পুনরুদ্ধার এবং কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর ও সচ্ছল করে তোলার লক্ষ্যে ব্র্যাক কর্তৃক পরিচালিত ‘আড়ং’-এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আড়ং মানে গ্রামীণ মেলা, এ মুহূর্তে ১৫টি রিটেইল স্টোরে আড়ংয়ের ৩০০০ কর্মচারী ৯০ লাখের মতো কাস্টমারকে ব্যবসায়িক বিক্রয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আড়ংয়ের রয়েছে ১৩টি ক্রাফট প্রডাকশন সেন্টার, ৫৩৫টি হাতের কাজ কেন্দ্রে কাজ করছে ৬৫০০০-এর বেশি গ্রামীণ কর্মী (যাদের শতকরা ৮৫ ভাগ মহিলা)। আড়ংয়ের বার্ষিক বিক্রি ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ব্র্যাকের ১৭টি কর্মসূচি রয়েছে। ব্র্যাকের কর্মসূচি সহায়ক অন্যান্য আর্থিক বাণিজ্যিক ও সামাজিক উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ‘গার্ডিয়ান; লাইফ ইনস্যুরেন্স, ব্র্যাক নেট, ডিবি এইচ ফাইন্যান্স করপোরেশন, আইপিডিসি, ব্র্যাক-টি, ব্র্যাক স্বাস্থ্যসামগ্রী , ব্র্যাক প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ব্র্যাক কোল্ড স্টোরেজ, ব্র্যাক রিসাইকেলড পেপার, ব্র্যাক ফিশারিজ, ব্র্যাক সেরিকালচার, ব্র্যাক নার্সারি, ব্র্যাক আরটিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন ইত্যাদি।

২০০২ সালে আফগানিস্তানে কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে ব্র্যাক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার কর্মসূচিকে সম্প্রসারিত করে। ওই সময় থেকে এশিয়ার বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, নেপাল, মিয়ানমার; আফ্রিকার উগান্ডা, তানজানিয়া, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া , সিয়েরা লিওন, ক্যারিবীয়র দেশ হাইতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্র্যাক হাইতি, সুদান এবং ইন্দোনেশিয়ার সংস্থাগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে থাকে। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রতে ব্র্যাকের অনুমোদিত সংস্থা রয়েছে। আফ্রিকার ৮টি দেশে ব্র্যাক দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে তার উদ্ভাবনী শক্তি এবং বহুমুখী বিস্তৃত কর্মসূচির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে নবতর শক্তি ও গতির সঞ্চার করেছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশ এর শান্তি মিশন যেন ব্র্যাক। আফ্রিকার কোনো এক দেশে সড়কের নাম ব্র্যাক।

২০১০ সালে ব্র্যাক তার প্রাতিষ্ঠানিক প্রতীক হিসেবে নতুন লোগো প্রবর্তন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠাকালে ব্র্যাকের বার্ষিক বাজেট ছিল ৩ মিলিয়ন টাকা যার পুরোটাই ছিল বিদেশি সাহায্যনির্ভর। ২০১৯ সালে ব্র্যাকের বার্ষিক রেভিনিউ ব্যয়ের বাজেট দাঁড়ায় ৪৭৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার খাত ওয়ারী হিস্যা-মাইক্রো ফাইন্যান্স ৫৫.৬%, ডেভেলপমেন্ট ২৩.৮% এবং সোশ্যাল খাতে ২০.০৯%। ব্র্যাকের আয়ের উৎস এখন মাইক্রোফাইন্যান্স ৬৩.৩%, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ১৮.৬%, ডেভাপলপমেন্ট গ্রান্ট ১৫.৪%, সেলফ ফাইন্যান্স ১.৬% এবং কমুনিটি কনট্রিবিউশন ১.১%।

(সরকারের সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান।)

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অসাধারণ ক্লপের আবেগঘন বিদায়

বিএনপির হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিবে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

চাকরি দেবে নোমান গ্রুপ, আবেদন করুন শুধু পুরুষরা

টাকা নিতে অস্বীকৃতি, পোলিং অফিসারকে মারধর

দীপিকার নাম বদলে দিলেন রণবীর

রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা পাকিস্তানের

রাইসিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, বললেন ইসরায়েলি নেতা

ইরানকে সহযোগিতায় সবকিছু করতে প্রস্তুত পুতিন

চাচিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার 

১০

রাইসির মৃত্যুতে পাল্টে যাবে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি!

১১

প্রাণ গ্রুপে নিয়োগ, আবেদনের বয়স ৪৫

১২

বদলি হবেন রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও 

১৩

সাড়ে ৭ শতাংশ জমির জন্য গৃহবধূকে হত্যা

১৪

রাইসিকে বহনকারী সেই হেলিকপ্টারের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে

১৫

রাইসির মরদেহ উদ্ধার, পাঠানো হচ্ছে তাবরিজে

১৬

লিচু চাষে বিপর্যয়, হতাশায় বাগান মালিকরা

১৭

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

১৮

ডিপজলের শিল্পী সমিতির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা

১৯

রাইসিকে কেন ভয় পেতেন ইসরায়েলের নেতারা

২০
X