কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও ২৭ জুলাই ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিমের বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় ইসলামী আন্দোলন। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট সংলগ্ন স্থানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহীদুল ইসলাম কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীমের বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজ্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা হয়। সভায় আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) প্রতিবাদ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের রাজধানীতে মহাসমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। ওইদিন একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনও বৃহস্পতিবার তারা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে।

শহীদুল ইসলাম আরও জানান, সভায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশ ও সম্মেলন সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। কিন্তু শান্তিপূর্ণ ও একান্ত ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করতে না দিয়ে সরকার জনগণের মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশে থানায় থানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন কার্যক্রম চলছে। একান্ত ঘরোয়া এবং সাংগঠনিক কর্মসূচির মধ্যেও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মুফতি ফয়জুল করীমের সঙ্গে প্রশাসনের চরম স্বৈরাচারী আচরণ সরকারের বাকশালী মনোভাবকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

তিনি জানান, সভায় আরও বলা হয়, সাংগঠনিক অফিসের কার্যক্রমেও সরকার বাধা দিয়ে দেশে পরিকল্পিত সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম হতাশায় ভুগছে। এজন্য পুলিশ দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে, পুলিশ বা প্রশাসন দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বানচালের পরিণতি ভালো হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চিরনিদ্রায় ধর্মেন্দ্র

বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

দুদকের শুনানিতে ঘুষের অভিযোগ, বিআরটিএ পরিদর্শক বরখাস্ত

চট্টগ্রামে কম্বলের গুদামে ভয়াবহ আগুন

সুন্দরবনে ৪ জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন একজন

নির্বাচন আয়োজনে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি সাদা দলের শিক্ষকদের

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার কমনওয়েলথ মহাসচিবের

যে তারিখে জন্ম সে তারিখে বিয়ে করলে কি ক্ষতি হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

১০

স্টেডিয়ামে ধ্বংস করা হলো উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল

১১

যাবজ্জীবনে দণ্ডিত গ্রেপ্তার আলম মলমপার্টির ‘সক্রিয়’ সদস্য

১২

এবার ব্রুনাইয়ের জালে বাংলাদেশের গোলবন্যা

১৩

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১

১৪

মুখ খুললেন তানজিন  তিশা

১৫

ভূমিকম্প নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি

১৬

বাংলাদেশ শ্রমবাজার জরিপ-২০২৫–এ ‘দক্ষতা ও চাহিদা’ অংশ সম্পন্ন করলো বিএমই

১৭

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের চুক্তিতে শুরু হচ্ছে ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স

১৮

মায়ের সুতোয় ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন

১৯

দল থেকে সুখবর পেলেন বিএনপির ২০ নেতা

২০
X