কোটা নিয়ে সরকার খেলাধুলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকালে যুগপৎ আন্দোলনের কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
খসরু বলেন, প্রত্যেকটি দেশে পিছিয়ে পড়া লোকদের জন্য কিছু কোটা থাকে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় জেনারেশন যদি মনে করে তারা পিছিয়ে পড়া লোক তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। তারপরও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখে ছোটখাটো কোটা রাখা যেতে পারে। কিন্তু সেটা বাংলাদেশকে যে মেধাভিত্তিক দেশ গড়ে তোলা, মেধাভিত্তিক একটা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যেটা ব্যতীত আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি এইরকমটা এই অবৈধ সরকার চায় কি না সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। তারা যদি চাইতো তাহলে এই খেলাগুলো করত না।
ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কোটাবিরোধীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার কঠোর সমালোচনা করে খসরু বলেন, এখন আবার তারা (পুলিশ) গোলাগুলি করছে, আহতও হয়েছে শুনলাম। তারা আগামী প্রজন্মের নাগরিক, বাংলাদেশকে পরিচালিত করবে, যাদের মেধার মাধ্যমে বাংলাদেশ গড়বে তাদের ওপরে আক্রমণ, হামলা ও গুলি চালাচ্ছে। এটা থেকে বুঝাই যাচ্ছে এখন একমাত্র জায়গা তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য। কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি ‘যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকাল ৪টা থেকে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম এবং গণফোরামের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ নেতাদের এ বৈঠক হয়। এই বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি কীভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুও ছিলেন। বাম গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের বৈঠকে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির হারুন আল রশিদ, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সামসুল আলম ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ ছিলেন।
এডিএমের বৈঠকে ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মোমিনুল আমিন, ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, শাহেদুল আজম, জাবেদুর রহমান জনি ও হুমায়ুন পারভেজ।
গণফোরামের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারি নেতৃত্বে দুদলের বৈঠকে ছিলেন গণফোরামের জগলুর হায়দার আফ্রিক, ফজলুল হক সরকার, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, পিপলস পার্টির এআর জাফর উল্লাহ চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, আবু তালেব সরদার ও মোশাররফ হোসেন ছিলেন।
মন্তব্য করুন