ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, সরকার এখন ভারসাম্যহীন আচরণ করছে। সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে কোটাবিরোধী আন্দোলন দমাতে চায়। এর পূর্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দিতেও আদালতকে সরকার ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, বনখেকো মোশাররফের ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফ মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। নিজে মুসলিম দাবি করে ইসলামের নবীকে নিয়ে তার ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের কারণে তাকে বহিষ্কার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফ কর্তৃক মহানবী (সা.) কে কটূক্তির প্রতিবাদ, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার, নৈতিকতাবিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন ও দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
মুফতি মানসুর আহমদ সাকী বলেন, দেশ আজ ভালো নেই। রাজধানীসহ সব শহরে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোটা প্রথা ফের চালু করে দেশের মেধা ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু করেছে সরকার। কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে সব কোটা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ ভাগে আনতে হবে। আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেট এবং অনৈতিকভাবে ক্যাডার, নন ক্যাডার হয়ে চাকরি পেয়েছে, তাদের বহিষ্কার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
মহানবী (সা.) কে কটূক্তিকারী পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুফের শাস্তিও দাবি করেন তিনি।
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আল আমীন সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান, এম এ হাসিব গোলদার, এইচ এম আবু বকর সিদ্দীক, শফিকুল ইসলাম, মুফতী হোসাইন মুহাম্মাদ কাওছার, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ প্রমুখ। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও শত শত মানুষ মিছিলে অংশ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড় হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট সংলগ্ন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন