কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সংলাপের বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রস্তাব দেন। তার এ প্রস্তাবের বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, আমরা আপাতত সরকারের সঙ্গে বসছি না। কারণ একসঙ্গে গোলাগুলি ও সংলাপ চলতে পারে না। সে কারণে আমরা আলোচনায় বসেছি। আমরা কিছু দাবি দিব। সে দাবিগুলো আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা সংলাপে বসব না।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোটা সংস্কার নিয়ে যে আলোচনার প্রস্তাব এসেছে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী জানান, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকার রাজি আছে। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তারা আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার জন্যও প্রস্তুত। তাদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আমাকে এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসব। তারা যখনই আলোচনায় বসতে চায়... সেটা যদি আজকে হয়, আজই আমরা বসতে রাজি আছি।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, বাড়ছে জনস্রোত

ভারতে এক রাতে ৫০০ ড্রোন হামলা

আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত আইপিএল

কৃষকের ৬ বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

ভারতের চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার, কতটা ভয়ানক?

ভাঙা হলো মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সেতুটি

আপ বাংলাদেশে আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পেলেন যারা

‘গণহত্যাকারীদের রাজনৈতিক অধিকার দিলে সমাজে হত্যাকে উৎসাহিত করা হবে’

সমাবেশে মোবাইল ফোন হারালেন নুর

পদ্মার এক ইলিশ সাড়ে ৮ হাজারে বিক্রি

১০

ক্যাথলিক চার্চে নতুন পোপ লিও চতুর্দশ

১১

রাত ৮টার মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

১২

সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর ‘বডিগার্ড’ গ্রেপ্তার

১৩

পাকিস্তানকে আরও বড় বিপদে ফেলতে যাচ্ছে ভারত?

১৪

কুয়াকাটায় জমি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

১৫

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

১৬

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, ফেনী সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

১৭

জুলাইয়ের নতুন সংগঠন ‘আপ বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ

১৮

রাজধানীর ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

১৯

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

২০
X