সরকার পতনের চলমান এক দফার প্রতি সংহতি ও নিজস্ব দুই দফা আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে ‘না’ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।
বর্তমান সরকারকে অবৈধ, বেআইনি ও ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সব কর্মকাণ্ড কে ‘না’ বলার আহ্বান ছিল এই মিছিলের মূল প্রতিপাদ্য।
শনিবার দুপুরে দলের প্রধান কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে এক পথসভায় মিলিত হন।
এ সময় এবি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত কয়েক মাস ধরে আমরা গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছি, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে সেগুলোর কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। আজকে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে নেতাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা ও গ্রেপ্তার প্রমাণ করে সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায়।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান এবি পার্টির
মঞ্জু বলেন, এটা ক্ষমতাসীনদের চরম নৈতিক পরাজয়, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা সেটা বুঝতে পারছে না। বিএনপি কোনো কর্মসূচি দিলে তারা ঠিক একই সময়ে বারবার প্যারালাল কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপি তারিখ, সময় ও স্থান পেছালে তারাও তারিখ, সময় ও স্থান পরিবর্তন করছে। তাদের দেউলিয়াপনা দেখে মনে হচ্ছে তারা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরিক।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, যেনতেনভাবে দেশের ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্ক্ষা শেখ হাসিনাকে বেসামাল করে দিয়েছে; বিদেশিদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে সুযোগ করে দিয়েছে যেটার পুরো দায় বর্তমান অবৈধ সরকারের। দেশের উত্তর প্রজন্ম আওয়ামী বাকশালকে ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে তিনি রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপিসহ বিরোধীদলের কর্মসূচিতে ব্যাপক পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, নির্যাতন করে কোনো একদলীয় স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি, হাসিনা সরকারেরও হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মিনার বলেন, সরকারি দল ‘শান্তি মিছিল’র নামে অশান্তি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ‘শান্তি কমিটি’ যেভাবে গ্রামে, শহরে, মহল্লায় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, এখনো সেরকম গুম, খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। আজকেও সারা শহরজুড়ে পুলিশ-ছাত্রলীগ যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের রাবার বুলেট দিয়ে আহত করছে, নেতাদের যেভাবে রক্তাক্ত করেছে তা শুধু একদলীয় বাকশালের সঙ্গেই তুলনাযোগ্য।
‘না’- মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, বি এম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এ বি এম খালিদ হাসান, আনোয়ার সাদাত টুটুল, আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, আনোয়ার ফারুক, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, আবু হেলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাদীউজ্জামান খোকন, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, আবুল বাশার, আমিনা বেগম, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন