বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় ভার্চুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারেক রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। ওই সরকার দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ একটি দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দুর্নীতির মামলা করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিএনপির দাবি। শুধু তা-ই নয়, বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার আড়ালে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলেও দলটির দাবি।
গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর তারেক রহমানকে আদালতে হাজির করা হলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন তার আইনজীবীরা। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতকে জানায়, তারেক রহমানের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। একপর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ শিথিল করেন এবং তারেক রহমানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। ২০০৭ সালে ২৫ আগস্ট তারেক রহমান হাসপাতালে পা পিছলে পড়ে আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে ২০০৮ সালের আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি পায়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সব মামলায় তারেক রহমানের জামিন হয় ও বিএসএমএমইউ থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন। এরপর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তখন থেকেই সপরিবারে লন্ডনে আছেন তারেক রহমান।
মন্তব্য করুন