আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, দেশ এখনো পুরো স্থিতিশীল নয়। পুরো পরিবেশের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি বলেন, জেলা ও মহানগরীর নেতারাই পার্টির মুল খুঁটি। আপনারা আমাদের ঘোষণা বা নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে নিজস্ব গণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করুন। সামনের জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে সারা দেশের জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঞ্জু।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। দিনব্যাপী এই প্রতিনিধি সম্মেলনে নির্ধারিত বিষয়ে বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়ার সঞ্চালনায় সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, গাজীপুরের সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, দিনাজপুর জেলা সদস্য সচিব মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কক্সবাজার জেলা আহ্বায়ক এনামুল হক শিকদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর আমরা নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি শুরু করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও বিগত স্বৈরাচারের পদলেহনকারী নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি। আমরা আদালতের মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছি। এখন আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। জেলা ও মহানগরীর নেতাদের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, ইউনিট পর্যন্ত সংগঠন বিস্তার করতে হবে। উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এবি পার্টিকে আগামীতে গণমানুষের দলে পরিণত করতে হবে।
আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, হাজারো শহীদের রক্ত ঝরেছে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অতীতের মতো জনগণের অধিকার লুণ্ঠিত হওয়ার আর কোনো সুযোগ আমরা সামনে দিতে পারি না। এখন থেকে এবি পার্টির নেতাদের মাঠে ময়দানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ও এবি পার্টির রাজনীতি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমরা রাষ্ট্র মেরামত নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে আমরা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। এমন দেশ আমরা আর চাই না যেখানে ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে হয়, অবৈধভাবে বর্ডার পার হতে গিয়ে জনরোষের শিকার হতে হয়। আমরা চাই দেশ হবে একটি ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র, যেখানে সব নাগরিক তার অধিকার পাবে, ন্যায়বিচার পাবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, সাঈদ নোমান, এবি লইয়ার্সের যুগ্মসচিব অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, অ্যাডভোকেট তারেক আব্দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট উদয় তাসমির, যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
মন্তব্য করুন