উত্তরবঙ্গের মহাসমাবেশে যোগ দিতে রংপুরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : রংপুরে সমাবেশ শুরু
এদিকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শুরু হয়। এরপর স্থানীয় নেতারা বক্তৃতা শুরু করেন।
জানা গেছে, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে শতাধিক তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারে সাজানো হয়েছে রংপুর।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদার সই করা সফরসূচি থেকে জানা যায়, সোয়া ২টার দিকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেল ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছাবেন। সেখানে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। বক্তব্য দেওয়ার পর বিকালে আবার একই পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন : ‘শেখের বেটি হামার উত্তরবঙ্গের মেলা উন্নয়ন করছে’
এদিকে মহাসমাবেশে অংশ নিতে কয়েকজন মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতা ইতোমধ্যে রংপুরে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে এনেছি। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে এবং পুরো নগরীজুড়ে থাকবে। সঙ্গে থাকবে স্বেচ্ছাসেবকরা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর আবার রংপুরে এলেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন