বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদানের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয়ভাবে বুধবার (২ আগস্ট) নয়াপল্টনে তাৎক্ষণিকভাবে যৌথ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির দুই সহযোগী সংগঠন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রদল।
এ সময় জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে যৌথভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদল ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষও একদিন চাঁদে যাবে, প্লেন বানাবে : প্রধানমন্ত্রী
সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আগামীকালের জেলা ও মহানগরে যৌথ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ও প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতনের ঘটনাসহ দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চালচিত্র বিদেশি কূটনীতিকদের অবহিত করেছে দলটি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূলে নয় বলেও জানিয়েছে তারা।
আজ বিকেলে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আজকে বিষয়টা ছিল ব্রিফিং। বিশেষ করে বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাবলি, ২৯ তারিখে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার ও সরকারি দলের অস্ত্রধারীদের যে যৌথ কর্মকাণ্ড, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ইত্যাদি বিষয়গুলো আমরা বলেছি। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র দেখতে চায়, গণতান্ত্রিক অর্ডার দেখতে চায়, মানবাধিকার দেখতে চায় তাদের জানা দরকার। এ কথাগুলো আমরা আগে ডিপ্লোমেটিক ব্রিফিংয়ে বলেছি।
তিনি বলেন, ‘ওরা জানতে চায়- কী হচ্ছে বাংলাদেশে? আমরা বলেছি, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যে পরিস্থিতি ছিল, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ এখন সেই পথেই চলছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা- সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘যত ঘটনা ঘটবে আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরব, সবাইকে বলব।’
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ও প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলা-নির্যাতন, গ্রেপ্তারের ঘটনা কূটনীতিকদের বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান দলটির এই নেতা।
মন্তব্য করুন