বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে যে পরিবর্তন এসেছে তা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে ধরে রাখতে হবে। এ দেশকে নতুন করে গড়তে এবং স্বনির্ভর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রশাসনকে স্বৈরশাসকের দোসরমুক্ত করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের রাজনীতিই নষ্ট করেনি, তারা পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই নষ্ট করেছে। তাদের প্রভু রাষ্ট্রের ইন্ধনে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করেছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে জনগণকে দাস বানানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইতিহাস বলে কোনো স্বৈরশাসকই ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দীর্ঘদিন টিকতে পারেনি, আওয়ামী লীগও পারেনি।
তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েও তাদের ভিতর কোনো অনুশোচনা নেই। এখনো গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আর রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তুলতে অপচেষ্টা করছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা দোসরদের অপসারণ না করা পর্যন্ত রাষ্ট্র নিরাপদ নয়।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনের সৈয়দ আলমগীর, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা সৈয়দ আবদাল আহমেদ, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন