শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে : জামায়াত নেতা

হাতিরঝিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
হাতিরঝিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারীদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোনোভাবেই চলতে দেবে না।

তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকার সব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামী লীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমির অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমির ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড. আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।

বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভার পর বিক্ষোভ মিছিলটি ওয়্যারলেস রেলগেট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

আতাউর রহমান সরকার বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণে আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারিনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করে। তাদের বিগত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একনায়কতান্ত্রিক বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১০

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১১

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১২

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৩

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৪

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৫

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৬

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

১৭

ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, গ্রেপ্তার ৪ 

১৮

শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ কর্মকর্তা

১৯

ডেজার আলোচনা সভা ও স্মরণিকা উন্মোচন

২০
X