বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ কেয়ারটেকার প্রশ্নে। সারা পৃথিবী ঐক্য কেয়ারটেকার প্রশ্নে। আওয়ামী লীগ কী বলল, কী ভাবল, কী করল এই নিয়ে দেশবাসীর কোনো চিন্তা করে না।
আজ শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি সব কথা বলেন।
তিনি বলেন- এই সূর্য যদি সত্য হয়, এই পৃথিবী যদি সত্য হয়, আমাদের দেশপ্রেম যদি সত্য হয় তাহলে কেয়ারটেকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়াও হবে না।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দিনের অবস্থা খারাপ দেশের অবস্থাও খারাপ। আপনারা একটা বিশ্বাস নিয়ে যেতে পারেন। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।
তিনি বলেন- শেখ হাসিনা ৯৪, ৯৫ ও ৯৬ সালে যে দাবি করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তখন সংবিধানে কেয়ারটেকার ছিল না। তখন যদি শেখ হাসিনার মাথায় কেয়ারটেকারের ভূত না চাপতে তাহলে এখন আমরা কেয়ারটেকার সরকারের দাবি করতাম না। সে সময় শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং বাম দলগুলো মিলে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি করেছিল। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমি আজীবন কেয়ারটেকার সরকারে বিশ্বাসী। আজ তিনি যেহেতু কেয়ারটেকার সরকার রাখতে চাচ্ছেন না তাই কেয়ারটেকার সরকারের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিলেন তার জন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই ক্ষমা চাওয়ার আগে সংবিধানের দোহাই দিয়ে তিনি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
দুদু আরও বলেন, বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে। বিচারের নামে তার ওপর প্রহসন করা হয়েছে। তারেক রহমান বিএনপির অ্যাক্টিং চেয়ারপারসন, তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান একটি স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান তিনি কোনো রাজনৈতিকের সঙ্গে জড়িত নয়। কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, বিচার করে জেলখানায় ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এসব করে লাভ হবে না। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আছে তারা দেশপ্রেমী, স্বাধীনতা প্রেমী ও গণতন্ত্র প্রেমী।
এসময় নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং বিএনপি যে কর্মসূচি দিবে তাতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক নেতা এস কে সাদি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন