বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ নেতা খন্দকার মোস্তাকের পরে জেনারেল জিয়াউর রহমান তার কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন তিনিই খুনিদের আশ্রয়দাতা মন্তব্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা, সংবিধান থেকে চার মূলনীতি মুছে ফেলে ইতিহাসের ভাগাড় থেকে কুখ্যাত দ্বি-জাতিতত্ত্ব, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা তুলে এনে রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।’
রোববার নগরীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোস্তাক-জিয়ার পাকিস্তানপন্থির এই রাজনীতি এখনো বিএনপি বহন করে চলেছে মন্তব্য করে সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতের হাত ধরেই পাকিস্তানপন্থিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ভিত্তিতে আঘাত করে চলেছে। খালেদা জিয়াও সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ-বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবেই আবির্ভূত। তিনি স্বামীর মতই গণতন্ত্রের নামে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে এনে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় ঠাই দেন।’
নির্বাচনকে উছিলা হিসাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী-জামায়াত-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে অসাংবিধানিক-অস্বাভাবিক ভূতের সরকার প্রতিষ্ঠার চক্রান্তে লিপ্ত এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এক দফার নামে দেশে আগুনসন্ত্রাস-বিশৃংখলা সৃষ্টি করে যথাসময়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই এইমুহুর্তে আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক কর্তব্য হচ্ছে ৭১ ও ৭৫ এর খুনিদের সঙ্গী বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত রুখে দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে এবং দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, মোহাম্মদ মোহসীন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মো. নুরুন্নবী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন