বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মিডিয়া আজকে একটি সরকারকে যেমন গড়তে পারে, তেমনি ভাঙতেও পারে। ঠিক সেই কারণেই এই সরকার মিডিয়াকে এত ভয় পায়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় যুগ’-শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মঈন খান বলেন, সংবাদপত্র রাষ্ট্র ব্যবস্থার শুধু 'চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সই' নয়, আজকে সংবাদপত্রের যে সত্যিকার অধিকার, তাদের যে ক্ষমতা -সেটা অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কেননা, আজকে মিডিয়া একটি সরকারকে গড়তে পারে, ভাঙতেও পারে। ঠিক সেই কারণেই এই সরকার মিডিয়াকে এত ভয় পায় এবং ভয় পায় বলেই তারা পদে পদে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের মুখ রুদ্ধ করে দিতে চাচ্ছে, রুদ্ধ করে দিয়েছেও।
তিনি আরও বলেন, এটি অবশ্য নতুন নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে মাত্র চারটি সংবাদপত্র রেখে সব মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে এই সংবাদপত্রের যে শক্তি, সেই শক্তিতে আসুন রাজনৈতিক দলগুলো ও সাংবাদিকরা মিলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করি, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
সেমিনারে ‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় যুগ’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণফোরামের একাংশের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ আখন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান, এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন প্রমুখ।
গণমাধ্যমের পক্ষে বক্তব্য রাখেন-বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ ও যুগান্তরের সহকারি সম্পাদক মাহবুব কামাল।
মন্তব্য করুন