সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে আশঙ্কাজনক দাবি করে অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। প্রবীণ এই নারী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। কেননা তার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার সেসব বাংলাদেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে নিয়ে ট্রিটমেন্ট অতি জরুরি। তাই আমরা সরকারকে মানবিক দিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিতে আহ্বান জানাই। অন্যথায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে।
ড্যাব নেতৃদ্বয় বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৯ বছর। শর্তসাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও প্রবীণ বয়সেও খালেদা জিয়া কার্যত কারাবন্দি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে আক্রান্ত। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ চার বছর তার যথাযথ কোনো চিকিৎসা হয়নি। কারাগারে অমানবিক পরিবেশেও তিনি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হার্ট, লিভার, কিডনি ও চোখের সমস্যা ছাড়াও পুরোনো আর্থ্রাইটিস এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও কোভিড-পরবর্তী জটিলতায় তার শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
ইতোপূর্বে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটি ও তার বিভিন্ন শাখাসমূহের নেতারা বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধন এবং বক্তৃতা ও বিবৃতির মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত কোনো সেন্টারে বিদেশে প্রেরণের জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন