লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, বিচার বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে ন্যায়বিচার সেবা দেওয়া। মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাদের কাজ। কোনো দলের দালালি করা তাদের কাজ নয়। কিন্তু বর্তমান বিচার বিভাগ সেটা করছে না। তারা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে একজনের পর একজনকে সাজা প্রদান করে যাচ্ছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেওয়া হচ্ছে এই রায়।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ড. রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে এলডিপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকার আওয়ামী লীগের অনেক নেতার নামে যৌক্তিক মামলা করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের মামলা তুলে নিয়ে বিএনপি ও বিরোধীদলের মামলা সচল রেখে অন্যায়ভাবে তাদের সাজা দিচ্ছে। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং ড. রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে, তা অন্যায়ভাবে দিয়েছে। আদালত রেদোয়ান আহমেদের কোনো স্বাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করেনি। আমি এই রায় প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাদের নামে এই সরকার যে লাখ লাখ মামলা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে রাখার পরিণতি ভালো হবে না। এই সরকারের সময় শেষ। এরা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে। দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। এদের শাস্তি পেতেই হবে।
এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহদপ্তর ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপির সভাপতি মো. সোলায়মান, পশ্চিম এলডিপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, গণতান্ত্রিক আইনজীবি ফোরামের সভাপতি অ্যাড. নূরে আলম, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিকদলের সভাপতি এফএমএ আল মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক কৃষক দলের সভাপতি এবিএম সেলিমসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন