বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে ভারত সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করাটা ভুল হতে পারে, তা হবে নিছক সরলীকরণ।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে মন্তব্যের ক্ষেত্রে ভারতের নীতিনির্ধারকরা এবার দৃশ্যমানভাবে অনেক সতর্ক ও সাবধানী। বেশ কিছুকাল ধরে তারা বলে আসছেন, ভারত বিশেষ কোনো দল নয়- বাংলাদেশের জনগণ ও এখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আগামী নির্বাচনসহ গোটা বিষয়কে তারা এবার যৌক্তিকভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করার কথা বলে আসছে। রোববার (২০ আগস্ট) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সাইফুল হক।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, অভিযোগ আছে- ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভারত সরকার অপ্রত্যাশিতভাবে আওয়ামী লীগের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু এবার তারা সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে বলে অনুমান করা যায়। তারপরও তারা যদি আরও একবার শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার স্বপক্ষে মার্কিন প্রশাসনের কাছে কোনো কূটনৈতিক নোট প্রেরণ করে, তা হবে দুর্ভাগ্যজনক ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সরকার ও তাদের জনগণ এবার বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, অবাধ-নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনসহ গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার পক্ষে দাঁড়াবে- এটাই কাম্য। ভোটের নিয়মতান্ত্রিক পথে আগামীতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বরং সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেতে পারে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জবরদস্তি করে বাংলাদেশে আর একটি একতরফা নির্বাচনী তামাশার চেষ্টা হলে এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর একটি ব্যর্থ নির্বাচন বরং একদিকে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলবে, অন্যদিকে জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী তৎপরতার জমিন আরও উর্বর করবে। তিনি বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সব উন্নয়ন সহযোগীকে এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন