বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে একদল যুবক। দলটির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে পল্লবী থানা সংলগ্ন ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় একদল যুবক এসে বিশৃঙ্খলা করে এবং বন্ধ করে দেয়।
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের। তার পৌঁছানোর আগে এ ঘটনা ঘটায় ইফতার মাহফিলে যাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোহাম্মদ কাদের কালবেলাকে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে ইফতার মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক বিশৃঙ্খলা করায় তা করা সম্ভব হয়নি। সেখানে কিছু লোক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্লোগান দিয়েছে। এখন তো আর বৈষম্যবিরোধী নেই, নতুন রাজনৈতিক দল করেছে তারা। হয় তো তাদেরই লোক। এই নিয়ে দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও স্থানীয় দুই শতাধিক রোজাদার ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পল্লবী ২নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত হন। এসময় ৩০-৪০ জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে উপস্থিত হয়ে অশালীন স্লোগান দিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় রোজাদারদের গালাগাল দিয়ে হলরুম থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে হলরুম ও গেটের সামনে জড়ো হয়ে অশালীন ব্যাক্যে স্লোগান দেয় উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা। ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পরে দুই শতাধিক রোজাদার ফিরে যান। রমাজানের পবিত্র মাসে এমন আচরণে ক্ষোভ ও ধিক্কার জানিয়েছেন রোজাদার ও স্থানীয়রা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে জাতীয় পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা মাঠে ছিলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে জাতীয় পার্টির দুজন নেতা শহীদ হয়েছেন। অনেকেই মামলা ও হামলার শিকার হয়ে কারাবাস করেছেন। এ ছাড়া বিগত সরকারের সকল দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম।
মন্তব্য করুন