সরকার নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতে নেতাদের বিরুদ্ধে আবারও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিএনপিকে সরিয়ে দিতে সরকার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্থগিত থাকা মামলাগুলো আবারও সচল করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে একটাই উদ্দেশ্য বিএনপিকে মাঠছাড়া করা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ক্যান্ডিডেট যদি না থাকে, তখন নির্বাচন কী হবে? আজকে সেই লক্ষ্যে তারা নেমেছে। লক্ষ্য একটাই আবারও বিনা ভোটে জোর করে, কারচুপি করে যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখল করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি নরসিংদীতে চক্রান্তমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য খায়রুল কবির এবং তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানাসহ প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। খায়রুল কবিরের বাসভবন ও বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশে কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে নরসিংদীতে এই হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছে।
বিএনপির এ নেতার অভিযোগ, বিএনপি জেলা কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা বিষয়ে স্থানীয় থানায় তাৎক্ষণিক অভিযোগ দেয়া হলেও জিডি এজাহার করতে গেলে কোনো কিছুই পুলিশ গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একজন বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বোমা মারার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিলেও পুলিশ ওই সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি এমনকি থানায় কোনো অভিযোগপত্র গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, খোকনের বাড়ি ও জেলা অফিসে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সরকারি মদতপুষ্টরা ঘটিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
চট্টগ্রামে স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বুধবার চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ ছিল। সমাবেশ থেকে ফিরে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের ছেলেরা নিজেরাই স্থাপনা ভাঙচুর করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। যুবদলের পাঁচজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, নরসিংদী জেলার সদস্য সচিব মনজুর এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন