গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, ব্যাংক লুটপাটকারীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যেই রয়েছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম তা ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’। এ সংগ্রামে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই সরকার ক্রমেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুহীন, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সে কারণে বাংলাদেশ আজকে ব্রিকসের সদস্য হতে পারল না। তিনি দাবি করেন, যত চেষ্টাই করুক, এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাটে ব্যস্ত। এদের শুধু ক্ষমতা থেকে হটালে হবে না, লুটপাট-চুরির সাথে জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এই সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো দেশটাকে লুটপাট করে খাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই সরকার রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সংবিধান ও শাসন ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করে চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করেছে। আন্দোলনে এদের পতন ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তিতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুব সমন্বয়ক অ্যাড. ফিরোজুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন