ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ই্উনুস আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি রাষ্ট্রের বিকাশের অপরিহার্য উপাদান। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রোববার (০৪ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদের দোসর একশ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছে মিডিয়া হাউসগুলো জিম্মি ছিল। অসৎ ও লোভী একদল লোক সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের পক্ষে সমর্থন উৎপাদন করত। ফ্যাসিবাদের বয়ানকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করত, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল পরিচালনা করত। গণমাধ্যম থেকে প্রকৃত সাংবাদিকদের উৎখাত করে ছিল পতিত স্বৈরাচার। ৫ আগস্টের পরে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, যার প্রতিফলন বৈশ্বিক জরিপেও দেখা গেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক হলেও সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ, স্বাধীন এবং সহনশীল কর্মপরিবেশ তৈরি করতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণে সাংবাদিকরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা দ্রুত নিরসন করতে হবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি রাষ্ট্রের বিকাশের অপরিহার্য উপাদান। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত না হলে নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারও ক্ষুন্ন হয়। একটি স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে জনগণের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে, প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং নীতি-নির্ধারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে। ইউনুস আহমেদ আরও বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যম যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়, তেমনি ব্যক্তির স্বাধীনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অন্যের অধিকার হরণ করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠাকে স্বাধীনতা বলা যায় না। তাই মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার অব্যাহত সংগ্রাম জারি রাখবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন