বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের নিঃস্বার্থ কারিগর। তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল সুনির্দিষ্ট। বিশেষ করে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, বৈষম্য মুক্ত করা। মরহুম আরাফাত রহমান কোকো প্রচারের আড়ালে থেকে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক নিঃস্বার্থ কারিগর, অলিখিত কাণ্ডারি।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন নজরুল ইসলাম আজাদ।
নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, দেশ যখন ভুগছিল গণতন্ত্রের অভাবে, ফ্যাসিবাদের দুরারোগ্যে ধুঁকছিল তখন খুবই নীরবে ২০১৫ সালে বিদায় নিয়েছেন প্রিয় আরাফাত রহমান কোকো। কোকো শুধু একটি নাম নয় একটি অনুভূতি, একটি নিঃশব্দ সংগ্রাম। তিনি শৈশবে মুখোমুখি হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার এবং জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সংগ্রাম ও ত্যাগ তাকে গড়ে তুলেছিল এক অনন্য অসাধারণ ব্যক্তিত্বে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদান কেবল পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধ গল্প নয়, কিংবা কবিতার ডায়েরিতে লিখে রাখা দুই চারটা লাইন নয়; তা যেন ক্রীড়া সংস্কৃতির নতুন দিগন্ত উন্মোচনের একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়, অবিকল্প সারথি। নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য, ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে তিনি কাজ করেছিলেন নিঃশব্দে।
প্রসঙ্গত, আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৯ সালে জিয়াউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় চলে এলে কিছুদিন জয়দেবপুরে থাকার পর বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বাস করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সৈয়দা শামীলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান।
মন্তব্য করুন