আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর পন্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। সর্বজন স্বীকৃত যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তাও আজ বিলুপ্ত করা হয়েছে। স্বৈরাচারকে গদি থেকে সরাতে সবচাইতে বেশি গণআন্দোলনের প্রয়োজন হয়, আমরা আজ সেই কঠিন আন্দোলন সংগ্রামে আছি। আমরা অবশ্যই আন্দোলনে বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বাকশাল গঠনতন্ত্রের অনেক কিছুই শেখ মুজিব বাস্তবায়ন করে যেতে পারেনি। তবে বিগত কয়েক বছরে তার কন্যা তার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করে ফেলেছে। যদি এই সরকার কোনোভাবে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ পায় তাহলে সব দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে একদলের রাজনীতি চিরস্থায়ী করবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তা হতে দিব না।
আজ শনিবার ‘বাংলাদেশ : পিসফুল ট্রান্সিশন অব পাওয়ার, প্রোবলেমস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনের সঞ্চালনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে কল্যাণ পার্টির নির্বাহী কমিটির এই আলোচনা সভা হয়।
এতে অন্যান্যের মধ্যে খ্যাতিমান ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভুইয়া পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস, মিসেস ফোরকান ইব্রাহীম, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদুর রহমান, আলী হোসাইন, মাহমুদ খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আপনার চারপাশে চাটুকাররা আপনাকে অন্ধ করে রেখেছেন। দয়া করে চোখ খুলে জনগণের মনের কথাটা বুঝুন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত করবেন না। হামলা-মামলা বন্ধ করুন। আবোল-তাবোল বলে জাতিকে ভুল বোঝানো উচিত না। দেশের মানুষকে এত বোকা ভাববেন না। এই দেশ যুদ্ধ করে শত্রুমুক্ত করা হয়েছে সুতরাং এ দেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
কল্যাণ পার্টির মহাসচিব বলেন, দেশ ও দেশের মানুষকে স্থায়ী শান্তি দিতে হলে দরকার সুষ্ঠু ও টেকসই পরিকল্পনা ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন। সে লক্ষ্যে কল্যাণ পার্টি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এর অন্যতম পূর্বশর্ত হলো, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকীব বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। উনার ওপর অযথা হয়রানি আমাদের জন্য লজ্জা। আন্তর্জাতিক মহলও ড. ইউনূসকে হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছে এটি পুরো বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক।
ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম বলেন, আমরা অনেকেই সমস্যাগুলো অনুধাবন করি কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক কথাগুলো আমরা তুলে ধরতে ভয় পাই। ফলে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হই। আমাদের অধিকার সচেতন হতে হবে এবং নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করতে হবে, তবেই আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ ফিরে পাব।
মন্তব্য করুন