বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে। পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখে, পরস্পরের স্বার্থ রক্ষা করে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, আমাদের ভূরাজনৈতিক যে কৌশল, সেই কৌশল আমরা নির্ধারণ করব। কারও কথামতো সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ বিষয়গুলোকে আমরা নিশ্চিতভাবে ভিত্তি করে আগামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করব। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে নিরপেক্ষতা। গত ১৭ বছর আমরা লড়াই করেছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর নিরপেক্ষতা না থাকলে অশুভ শক্তিগুলো শক্তিশালী হয়ে যাবে, যা আমি বিভিন্ন সময়ে বলেছি। যেহেতু নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, সেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের সরিয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের জায়গায় অবতীর্ণ হওয়ার অর্থ হচ্ছে পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থানে যাওয়া। গত এক-দেড় বছরে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় অনেক বদলি হয়েছে। এসবের কিছু কিছু বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সে কারণে এই জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে।
কেয়ারটেকার সরকারের যে চরিত্র তা সংবিধানে বলা আছে। কেয়ারটেকার সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে সেটাও সংবিধানে বলা আছে পরিষ্কারভাবে। সুতরাং এই সরকার যেহেতু কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করবে আগামী নির্বাচনে, তাই তাদের এই মুহূর্ত থেকে কেয়ারটেকার সরকারের বৈশিষ্ট্য পালন করতে হবে।
বর্তমানে বিএনপি বড় দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো চাইলে রাস্তায় নেমে যেতে পারতাম। আমরা সমস্যার সমাধানে রাস্তায় যাইনি, আমরা আলোচনার টেবিল বেছে নিয়েছি। কারণ আমরা রেসপন্সিবল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছি। আমরা জোর করে কিছু আদায় করতে চাইনি, কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
মন্তব্য করুন