

১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নানা ষড়যন্ত্র করছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রেও তারা লিপ্ত। তাদের সব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সবাই মিলে আওয়ামী লীগের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত রুখে দেওয়া হবে।’
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে দলীয় কার্যালয়ে ন্যাশনাল লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লায়ন ফারুক বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র মানে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র। যারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তাদের পরিণতি ভালো হবে না। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জনগণের প্রচেষ্টায় সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। জনগণের ভোটাধিকার যারা বাধাগ্রস্ত করবে, জনগণ তাদের রুখে দেবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ তাদের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশে অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ কোনো নির্বাচন হতে দেয়নি। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। সেই সঙ্গে তখন বাক-স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। চব্বিশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হলেও দেশে গণতন্ত্র এখনো পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেজন্য দেশে অবিলম্বে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।’
১২ দলীয় জোটের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, এই মুহূর্তে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যতটুকু সংস্কারের প্রয়োজন, তা সম্পন্ন করে ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র কাজ। আর সেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা; অর্থাৎ দেশকে পুনরায় কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনা।’
ঢাকা মহানগর ন্যাশনাল লেবার পার্টির সভাপতি মাইদুল ইসলাম আসাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন