দেশে গণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা অবশিষ্ট নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'সংবিধান ও গণতন্ত্র : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ'-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি করেন তিনি।
গয়েশ্বর রায় বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের লোকেরা গণতন্ত্রের পক্ষে, জনগণের পক্ষে কথা বলছে। কারণ, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা অবশিষ্ট নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই, ভোট ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, জামায়াতের সাথে মিলে আওয়ামী লীগ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছিল। পরবর্তীতে তারাই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এ জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, এই সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। দেশে-বিদেশে কেউ আর সরকারের সাথে নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে আওয়ামী লীগ সরকারের গুম-খুন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে এই সরকারকে স্যাংশন দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও কিছু আন্তর্জাতিক খবর শুনতে পাবেন, কিছু দেশের স্যাংশন দেখতে পাবেন এ সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে। তাই এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। এ সরকার দেশটা ধ্বংস করে দিয়েছে, বিদেশেও দেশের মান-সম্মান ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, এই সরকার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিয়ে গত ১৩ বছর ধরে দেশে কৃত্রিম একটি রাজনৈতিক সংকট জিইয়ে রেখেছে। এখন ড. ইউনূসসহ গণতন্ত্রকামীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ ফাঁকা করতে চাচ্ছে। পাশাপাশি এ সরকার চীন, রাশিয়া ও ভারতের কূট পরামর্শে ইচ্ছে করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করছে না। চীন, রাশিয়া ও ভারত আজ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে- যা সহ্য করবে না এ দেশের জনগণ। তারা আন্দোলনে এ সরকারের পতন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।
গণঅধিকার পরিষদ নেতা মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- আইনজীবী মহসীন রশিদ, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল আলম খান চৌধুরী, ব্যারিস্টার জীশান মহসিন, অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, জাকারিয়া পলাশ, সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, অ্যাডভোকেট শিরিন আকতার শেলী, সাকিব হোসাইন, শেখ খায়রুল কবির, কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ ইসমাইল বন্ধন, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মহানগর উত্তরে কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানকে আহ্বায়ক ও মোস্তাক শিশিরকে সদস্য সচিব এবং মহানগর দক্ষিণে ব্যারিস্টার জীসান মহসীনকে আহ্বায়ক ও ইমাম উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন