

বাংলাদেশ এলডিপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এমএ বাশারকে সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান চাষী মো. এনামুল হককে মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দলের নতুন সভাপতি এম এ বাশার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, দলের বাকি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। নবগঠিত নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ এলডিপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ এলডিপি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে শাহাদত হোসেন সেলিম মহাসচিব এবং আব্দুল করিম আব্বাসীকে চেয়ারম্যান করে দলটির যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ এলডিপি। এরপর ২০২২ সালে ১২ দলীয় জোট গঠন করা হয়। এর প্রধান হন মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (চেয়ারম্যান, কল্যাণ পার্টি), সমন্বয়ক হিসেবে এহসানুল হুদা (চেয়ারম্যান, জাতীয় দল) কাজ শুরু করেন। কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্তি’ করে শাহাদাত হোসেন সেলিম বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান শাহাদাত হোসেন সেলিম। তার একক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে মেট্রো লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এম এ বাশার। তিনি সেদিন বলেন, বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্তির ক্ষমতা কারও নেই।
তিনি বলেন, ২০২৪-এর ডামি ইলেকশনে ১২ দল ছেড়ে চলে যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম। তারপর তাকে বহিষ্কার করা হয়। শাহাদত হোসেন সেলিমকে জোটের মুখপাত্র করা হয়। ২০২৪ সালেই আমাদের দলের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী বয়সজনিত কারণে দলের প্রধানের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় শাহাদত হোসেন সেলিমকে দলীয় প্রধান করা হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দলের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম কোনো আলোচনা ছাড়া, কোনো সভা ছাড়া, নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় গত ৮ ডিসেম্বর বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এলডিপিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন!
তিনি আরও বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি- দল বিলুপ্ত করার ক্ষমতা কোনো ব্যক্তির নেই। যে দলে শত শত নেতাকর্মী আছে, যারা প্রাণ দিয়ে আদর্শ ধরে রেখেছে- সেই দলকে একজন মানুষ বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখেন না। আমরা তার নিজের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু দল বিলুপ্ত করা কোনোভাবেই আদর্শিক নয়। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল তার। বাংলাদেশ এলডিপি তার জায়গাতেই আছে বাংলাদেশ এলডিপি ততদিন থাকবে- যত দিন এই দেশে জাতীয়তাবাদের একজন মানুষও বেঁচে থাকবে। আমি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করছি- ব্যক্তি নয়, আদর্শই আমাদের পরিচয়।
মন্তব্য করুন