বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজ ডানে-বায়ে জনতার ঢল, জনগণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকবো।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক জনসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ইতিহাস সব সময়ই কলঙ্কিত। তারা জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব করে বারবারই জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। আওয়ামী লীগ আগে বলতো আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো। আজকে তারা কেন এ কথা বলে না? আমার ভোট আমি দিবো, দিনের ভোট রাতে দিবো-তারা আজ এমন নীতি নিয়েছে। এ জন্য জনগণের কাছে তাদের জবাব দিতে হবে। তারা আজকে এই কথা বলে- কারণ, তারা জানে সুষ্ঠু ভোট হলে, দিনে ভোট হলে তারা নিজেদের জামানত হারাবে। আওয়ামী লীগ রাজতন্ত্র চায়, দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র চায় না, জনগণের বাকস্বাধীনতা দিতে চায় না। ভুয়া উন্নয়নের প্রকল্প নিয়ে মানুষকে খুশি করা যায় না। এটা বুঝতে পেরে তারা আবারও একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু এবার তা সফল হবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের বিদায় করে দেশে জনগণের শাসন কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ।
জনসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, তাঁতী দলের জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, নরসিংদীর খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, মুন্সিগঞ্জের কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা জেলার খন্দকার আবু আশফাক, টাঙ্গাইলের হাসানুজ্জামিল, নারায়ণগঞ্জের সাখাওয়াত হোসেন, মানিকগঞ্জের এসএম জিন্নাহ কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুল হালিম, আতাউর রহমান ঢালী, শাহজাদা মিয়া, মামুন আহমেদ, মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, ডা. রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, শরীফুল আলম, ওয়ারেস আলী মামুন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, নেওয়াজ হালিমা আরলি, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন