জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতের রিমান্ড ও মিথ্যা মামলা বাতিল করে অবিলম্বে তার মুক্তি চেয়েছেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
নেতৃদ্বয় আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেন, গত বুধবার ঢাকায় বিএনপির জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ১৮ অক্টোবর। গ্রেপ্তারের পর ডিবি পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের মনগড়া নাটক তৈরি করে এবং আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়।
তারা বলেন, ইদানীংকালে ছাত্রনেতাদের গ্রেপ্তারের পর অস্ত্র উদ্ধারের যে নাটক তৈরি করছে অতিউৎসাহী ডিবি সদস্যরা, এই ঘটনাও সেই পরিকল্পনার ভিন্ন কিছু নয়। ছাত্রনেতাদের কেন্দ্র করে কেন অস্ত্র উদ্ধারের ভুয়া কাহিনি সাজানো হচ্ছে, এসব অস্ত্র কোথা থেকে আসছে, এগুলো আজ ছাত্রসমাজের কাছে আলোচিত প্রশ্ন। বিষয়টিও এই মুহূর্তে স্পষ্ট যে, জালিম ও গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র ও যুবসমাজকে ব্যাপকভাবে রাজপথে নেমে আসতে দেখে অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ কিছু দলবাজ পুলিশ সদস্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে আগামীতেও এ ধরনের গণগ্রেপ্তার অভিযান এবং মনগড়া নাটকের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতা অবিলম্বে কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতের গ্রেপ্তার ও অবৈধ রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে বাসিতসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
এদিকে ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের নেতা আশরাফুল ইসলাম আবির জানান, কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতকে রমনা থানায় দায়েরকৃত কথিত অস্ত্র উদ্ধারের মিথ্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাকে এখন মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। বাসিত শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। অবিলম্বে তিনি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিতের মুক্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।
মন্তব্য করুন