লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, এদেশ আমাদের সবার, এ দেশ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশকে বাঁচান। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, সাংবিধানিক অধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথ সুগম করুন। কেউ বেইমানি করে ঘরে বসে থাকবেন না। নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য।
আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে সর্বাত্মকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করুন। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগ ত্বরান্বিত করতে হবে। সাংবিধানিক অধিকার ও মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, মেহেরবানি করে আগামী দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের সাথে কর্মসূচিগুলো সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটু কষ্ট করে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন।
কর্নেল অলি আরও বলেন, ৫ বছর কষ্ট করার চেয়ে ১০-১২ দিন কষ্ট করাই শ্রেয়। ধুঁকে ধুঁকে মরে লাভ নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীন দেশের মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সকল সক্ষম জনগণ মেহেরবানি করে আমাদের কর্মসূচিগুলোতে সহযোগিতা করেন। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান গাড়িগুলো রাস্তায় বের না করে আমাদের কর্মসূচিগুলো সফল করার জন্য সাহায্য করুন।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য বর্তমান সরকারের হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার, মৌলিক অধিকারসহ অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সকল স্তরে নিশ্চিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্ত করতে হবে, বর্তমান সংসদের বিলুপ্তি ঘটাতে হবে, মন্ত্রিসভা বাতিল করতে হবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।
এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এস এম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাশেম, নিলু, মেহেদী হাসান মাহবুব, আলী আজগর বাবু, ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর পূর্বের মো. সোলায়মান, পশ্চিমের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তরের অবাক হোসেন রনি, দক্ষিণের আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক যুবদলের আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের নূরে আলম, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের এফ এম এ আল মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক কৃষক দলের এ বি এম সেলিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের কাজী কামরুল হাসানসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন