গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে সব বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে জিয়া পরিষদ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, মহাসচিব ড. মো. এমতাজ হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ এ দাবি জানান।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে এ পযন্ত বিএনপি ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ভুয়া, অসত্য, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।
নেতারা বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নীলনকশা বাস্তবায়নে একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপিকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে সারাদেশে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে।
তারা আরও বলেন, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে মধ্যরাতের ভোট চোর সরকারের চরম অনীহা ও ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই তারা বল ও শক্তি প্রয়োগের অনৈতিক পথ বেছে নিয়েছে। অথচ দেশের মানুষ ভোট চোর এই সরকারকে আর চায় না।
জিয়া পরিষদের নেতারা আরও বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, গণতন্ত্র প্রতষ্ঠার সংগ্রামে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পযন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবে না।
নেতারা অবিলম্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাহান ওমর (বীরউত্তম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান।
মন্তব্য করুন