শহীদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতারা।
এর আগে পুরানা পল্টন বিজয়নগর মোড় থেকে মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে যান তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো স্বৈরতন্ত্র নির্ভর। এই স্বৈরাচারী রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করতে হবে। আজকে রাজনৈতিক দলগুলো নূর হোসেনের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে। প্রকৃত চেতনা লালন করলে বাংলাদেশে ভোটচুরি হতো না, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হতো না। নূর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, অথচ তিনিই ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকে নির্বাচন কমিশন বলছে, তপশিল ঘোষণার পরিবেশ আছে। বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাকে জেলে ভরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ! সত্যিই হাস্যকর। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল বলছে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সেখানে এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে বলে তপশিল ঘোষণা করতে মরিয়া। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশের জনগণ প্রকাশ্যে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চায়, এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নাই।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ যদি নূর হোসেনের চেতনা ধারণ করত, তাহলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করত না। যে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছে, সেই তারাই আজকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। এই সরকারের প্রতি আমাদের ধিক্কার।
দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, মিথ্যাচার আর অত্যাচার এই দুয়ে মিলে হয় স্বৈরাচার। বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রকামী জনতার ওপর জুলুম নির্যাতন করে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। আমরা সরকার বলতে চাই, অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে কোনো সরকারই কোনো কালে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারেরও অচিরেই পতন ঘটবে।
উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাড. নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি অ্যাড. বিপ্লব কুমার পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলসহ নেতারা।
মন্তব্য করুন