আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণাকে একতরফা অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একরতফাভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই সরকার অবৈধ, এই সরকারের তৈরি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনও অবৈধ এবং তাদের ঘোষিত তপশিলও অবৈধ। জনগণ এ তপশিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চলমান অবরোধের সমর্থনে পুরানা পল্টনের আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করে বিজয়নগর মোড় হয়ে পল্টন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
পরে অবৈধ তপশিল বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সকারের মাধ্যমে নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ আগামী রোববার ও সোমবার হরতালের ডাক দেন এবং এই হরতাল সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ও এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদত, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের ও মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী ও মহাসচিব আবু সৈয়দ, বাংলাদেশ ন্যাপ’র চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল বারিক, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নূরুল ইসলাম ও পলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড বাবু লাল মন্ডল, ডেমোক্রেটিক লীগের নেতা খোকন চন্দ্র দাস ও এড. মো. আকবর হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি) এর সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল ও মহাসচিব দিলীপ কুমার দাস, জনতা অধিকার পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাজা রহমান প্রমুখ।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, এনপিপির ঢাকা মহানগরের নেতা নজরুল ইসলাম, মো. বাবুল, মো. জুলহাস, মো. ফরহাদসহ জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের ফরিদজ্জামান ফরহাদ বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ দাবি হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এ দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মত্ত-উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে সরকার। আর সেই অপচেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে মেরুদণ্ডহীন এ নির্বাচন কমিশন।
জোট নেতারা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তপশিলের নামে এই নাটক বন্ধ করুন। আগে পদত্যাগ করুন। তারপর নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তাহলে জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে দেশের সরকার নির্বাচন করতে পারবে এবং গণতন্ত্র রক্ষা পাবে।
মন্তব্য করুন