নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে ঘোষিত তপশিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাদ জুমা বায়তুল মোকররমের উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।
গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ডা. আবদুর রাজ্জাক, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক আজিজুল হক প্রমুখ।
আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার যেমন রয়েছে, একইভাবে না দেওয়ার অধিকারও রয়েছে। নির্বাচনের পক্ষে প্রচারণা চালানোর যেমন অধিকার আছে তেমনি নির্বাচনের বিপক্ষেও প্রচারণা চালানোর অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে শক্তিপ্রয়োগ করার অধিকার সরকারের নেই। এসব অধিকার সংবিধান সংরক্ষণ করে। বিরোধীদলগুলোর মিছিল ও সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এখতিয়ার বহির্ভূত। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এই নির্দেশনা মূলত সরকারের ইন্ধনে হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এভাবে নির্বাচনের নামে যে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে তা জাতির কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। অবিলম্বে ঘোষিত একতরফা তপশিল বাতিল করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আশঙ্কার চেয়েও বেশি খারাপের দিকে ধাবিত যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে সামনে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় শুরু হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
মন্তব্য করুন