আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের জোটের মধ্যে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের জন্য কোনো আসন ছাড়ের ঘোষণা না থাকলেও নিজের ‘আসন নিশ্চিতের’ দাবি করেছেন দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডিতে তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ দলের শরিকদের জন্য সাতটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা আসে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে জাসদ-৩, ওয়ার্কার্স পার্টি-৩ ও জাতীয় পার্টি (জেপি)-১। এর বাইরে শরিক ৯টি দলকে কোনো আসন দেওয়া হয়নি। জাসদ-ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপির পক্ষ থেকে এই আসন প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ছাড় দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তরিকত ফেডারেশন। চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে গত দুটি নির্বাচনে জেতা নজিবুল বশর বলেছেন, গত ৪ ডিসেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শরিকদের বৈঠকেই তার আসনের ব্যাপারে বলা হয়েছিল।
নজিবুল বশর বলেন, সেদিনই (৪ ডিসেম্বর গণভবনের বৈঠক) ৫-৬টার কথা বলা হয়েছে। আমরা জানি, আমরা আছি। আমি জানি আমারটা আছে। আমাকে ৪ ডিসেম্বরই বলে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, গতকাল যেসব আসনের কথা ঘোষণা হয়েছে তা চূড়ান্ত নয়। আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। চার ডিসেম্বর আমরা গণভবনে যাই। আলোচনা হয়েছে। আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। সেদিন কমিটিগুলো করা হয়। সেদিন ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রকাশ্যে কয়েকজনের নাম বলে দিয়েছিলেন। বাকিগুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিকদের ১৬টি আসনে ছাড় দেওয়া হলেও এবার তা কমিয়ে ৭টি করা হয়েছে। বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকা বিকল্পধারা ও তরিকত ফেডারেশনকে ছাড় দেয়নি ক্ষমতাসীন দল।
লিখিত বক্তব্যে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আমরা সে সিদ্ধান্তের ওপর অবিচল রয়েছি। জনগণের ভোটে, শেখ হাসিনা আবারও নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ ব্যাপারে যেমন কোনো ভুল নেই, তেমনি বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১৪ দলীয় জোটের অংশ হিসেবে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে এটিও নিশ্চিত।
তরিকত ফেডারেশনের দলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আলী ফারুকী, বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আলী হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন