টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই সমর্থন আমার একমাত্র শক্তি।
তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সে জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
‘এই বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, আমি নিজের দিকে তাকাইনি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে আয়োজিত এই জনসভায় নিজের ওপর বারবার হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে। মানবঢাল করে আওয়ামী লীগ আমাকে রক্ষা করেছে।
বিএনপির-জামায়াতের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে হুকুম দেয়, এখানে মানুষ পোড়ায়। তারেকের মতো খুনি, আর তার কথা শুনে, লম্পটের কথা শুনে কেন তারা মানুষ মারে এটা তাদের কাছে আমার প্রশ্ন। এর জন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে হবে। আমরা চাই মানুষ শান্তিতে থাকুক। নির্বাচন বানচাল করতে চায় তারা। তৃতীয় পক্ষ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না। সারা বাংলাদেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, আজ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি। ইসরায়েল দ্বারা যেমনি ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করছে ঠিক তেমনি তারেক জিয়া লন্ডন থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আগামী নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে তাকে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
গোপালগঞ্জের জনসভার পর মাদারীপুরের কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সেখানে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসমাবেশ যেন সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আগামী ২ জানুয়ারি ফরিদপুর জনসভা করবেন তিনি। আর ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে।
মন্তব্য করুন