একদফা আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটবে, আশা ফখরুলের

একদফার আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিংয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে পরাজিত করে তাদের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য করবে। সে হিসেবে আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য, মানুষের অধিকারগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগামী দিনে নতুন একটি সরকার, জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

‘একদফা’ আন্দোলনের কর্মকৌশল চূড়ান্তকরণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের আগামী দিনের কর্মসূচি কী হবে সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা কিছু দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করছি। এটাকে কীভাবে কাছাকাছি আনা যায়, একদফার আন্দোলনটা কবে নাগাদ শুরু করা যায় এবং কবে ঘোষণা করা যায়, কীভাবে শুরু করা যাবে- সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’

গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা বলেছি, একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না এবং জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না। সেই লক্ষ্যে আমরা অচিরেই একদফার আন্দোলনে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে, আমরা খুব দ্রুততম সময়ে একটা যৌথ ঘোষণা জাতির সামনে উপস্থাপন করব। তারপর আমরা দেশব্যাপী একটা গণসম্পৃক্ততা নিয়ে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা করব। এ ব্যাপারে বাংলাদেশে যেমন জনমত সৃষ্টি হয়েছে, আন্তর্জাতিক বলয় থেকেও আমরা যথেষ্ট সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছি।’

বৈঠকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী ও মহাসচিব আবদুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।