কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দলের ভাইস চেয়ারম্যান চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কারাবন্দি অবস্থায় মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার ওজন প্রায় ৬ কেজি কমে গেছে এবং বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। আজকে বিকালে উনি স্পেশাললাইজড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে গ্যাসস্ট্রোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শামসুল আরেফিন ওনাকে দেখেছেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন।

‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন ওনার শারীরিক অবস্থা ভালো। বাসা থেকে ওনার চিকিৎসা চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার একটি পরীক্ষার জন্য এই হাসপাতালে ওনাকে আবার যেতে হবে।’

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

গত ২৮ অক্টোবর গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে পরবর্বীতে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরও ডজনখানেক যানবাহনে। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।

দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।

সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পর দিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়ে যান। কিন্তু এক মামলায় আটকে থাকায় তাদের মুক্তি মিলছিল না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে সঞ্জয়ের সঙ্গে প্রেম বিচ্ছেদ হয় মাধুরীর

নাক মাটিতে না লাগিয়ে শুধু কপালের ওপর সিজদা করলে কি নামাজ হবে?

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আরেক বাসের ধাক্কা, নিহত ১

হঠাৎ মুখোমুখি রণবীর-দীপিকা

ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ / ব্রাজিলের ছিটকে যাওয়ার দিনে বিশ্বকাপের পরের রাউন্ডে আর্জেন্টিনা

রাগ করে বাসা থেকে বের হওয়া তরুণের মরদেহ মিলল ধানমন্ডি লেকে

মানব পাচারকারীদের ঘাঁটিতে বিজিবির হানা

এইচএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে আড়ং

চা বাগান শ্রমিক সর্দার হত্যা, চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক

১০

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা দখল / গ্রেটা থুনবার্গ ক্ষুধার্থ, বাকিদের ভাগ্যে যা ঘটেছে

১১

ফের ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, খেলা দেখবেন যেভাবে

১২

আয়ারল্যান্ড সিরিজের সূচি প্রকাশ, জেনে নিন কবে কখন ম্যাচ

১৩

জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে উত্তেজিত জনতার হামলা

১৪

লোহাগড়ায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি নেতা তুহিন মোল্লার লিফলেট বিতরণ

১৫

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করতে মুখিয়ে টাইগাররা

১৬

অনূর্ধ্ব-২০ / বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ব্রাজিল

১৭

আকিজ বশির গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১৮

রোহিতের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার কারণ জানালেন আগারকার

১৯

নিজের ব্যর্থতা নিয়ে যা বললেন হৃতিক রোশন

২০
X