আবু সালেহ মুসা
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রওশনপন্থিদের নতুন কমিটি ঘোষণা

সম্মেলন মঞ্চে সাদ এরশাদ ও রওশন এরশাদ। ছবি : কালবেলা
সম্মেলন মঞ্চে সাদ এরশাদ ও রওশন এরশাদ। ছবি : কালবেলা

জাতীয় পার্টির (জাপা রওশনপন্থি) দশম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দলটির নতুন চেয়ারম্যান হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। সেই সঙ্গে দলটির মহাসচিব হলেন কাজী মামুনুর রশীদ।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর রমনা ইনস্টিটিউটের সামনে খোলামাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩ বছরের জন্য জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রওশন এরশাদ।

সম্মেলনে রওশন এরশাদ ছাড়াও ছিলেন— জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

রাজধানী ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার-ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছিল।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এরপর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে অন্তত ছয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলটি। তারপর থেকে এরশাদ-রওশন ও জিএম কাদের বলয়কেই জাপার মূল ধারা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা শাসক এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে রওশন, কাদের অর্থাৎ দেবর-ভাবির মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোন্দলের মাত্রা চরমে ওঠে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা সরাসরি পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সভা ডেকে ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করেন। তাদের পদত্যাগও চান পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই। এ ঘটনা কেন্দ্র করে দলে থাকা দীর্ঘদিনের মিত্রদের একে একে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাপার স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হন রওশন এরশাদ।

মূলত রওশন অংশে তিনি ছাড়া বাকি শীর্ষ নেতাদের সবাই দল থেকে বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃত নেতাদের হাতে নিয়েই নতুন করে দল গঠন করতে যাচ্ছেন সাবেক এই বিরোধী দলের নেতা। যদিও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশনকে এখনো বহিষ্কার করেননি জিএম কাদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মধ্যরাতে দোকানে দোকানে সেনাবাহিনী, গ্রেপ্তার ১০

শেকৃবির রেজিস্ট্রার পদে রুটিন দায়িত্বে নজরুল ইসলাম

সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘সুরভি’ : ডা. জুবাইদা

ধোলাইয়ের শিকার দুই ইরানি করলেন মামলা

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএসপিপির ২ দিনের কর্মসূচি

মধ্যরাতে ঢাকায় ভূমিকম্প

দ্রুত পল্লী বিদ্যুতের দাবি মানার আহ্বান হামিদুর রহমান আযাদের

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রাতে পানি পান: কখন উপকারী, কখন ক্ষতিকর

নতুন এক জেলা ঘোষণার পক্ষে সারজিস আলম

ঢাবিতে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক ২ বহিরাগত, থানায় সোপর্দ

১০

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ‘কমোডিটি মার্কেট’ চালুর অনুমোদন

১১

সীমান্তে মাছ ধরতে গিয়ে আটক সবাই

১২

‘নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য যারা হতাশ, তারা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজে হতাশ নয়’

১৩

‘শেখ হাসিনা দুপুরের খাবারও খেয়ে যেতে পারেনি’

১৪

কী সিদ্ধান্ত নিলেন, জাতিকে জানান : রাশেদ খাঁন

১৫

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিল ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধি দল

১৬

দেশের আকাশে চক্কর দিয়ে গেল ভারতের তিনটি ড্রোন

১৭

দ্রুত ডাকসুর ঘোষণা না আসলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিবিরের

১৮

অগ্রণী ব্যাংক ও ব্রাকনেটের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

১৯

সচিবালয়ে প্রবেশে বাধা অনাকাঙ্ক্ষিত : ইউট্যাব

২০
X