ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের কন্ঠের আওয়াজকে স্তব্ধ করতে রাষ্ট্রকে নিপীড়নযন্ত্রে পরিণত করেছে। চারিদিকে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বজায় রেখে তারা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতেই হবে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি। জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেটিকে চিরস্থায়ী করার বন্দোবস্তোতে লিপ্ত রয়েছে। আর সেজন্য তারা দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ভেঙ্গে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এরা গণতন্ত্রমনা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়। মানুষের কন্ঠের আওয়াজকে স্তব্ধ করতে রাষ্ট্রকে নিপীড়নযন্ত্রে পরিণত করেছে তারা।
তিনি আরও বলেন, দেশকে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার আর সহিংস হামলার এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর ক্ষমতা দখল করে এর তীব্রতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং গতকাল (শুক্রবার) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার ওজমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি জুলুমের হাত থেকে দেশের ভিন্ন মতের খ্যাতনামা আইনজীবীদেরকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। চারিদিকে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বজায় রেখে আওয়ামী ডামি সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতেই হবে।
তিনি অবিলম্বে রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং ওজমান চৌধুরীর মামলা প্রত্যাহারপূর্বক নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন