ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি দেশের সর্বস্তরের জনতাকে আন্তরিক মোবারক জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
তিনি বলেন, এবারের রমজান ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের দিশেহারা। চারদিকে দুর্ভিক্ষের আলামত লক্ষ করা যাচ্ছে। রাজধানীতে ভিক্ষুকের ঢল এর আগে ঢাকাবাসী দেখেনি। দেশ ও দেশের জনগণ আজ ঋণে জর্জরিত। সরকারকে আবার ঋণ করে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আজ পদদলিত।
চরমোনাই পীর বলেন, এমন এক মুহূর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে, যখন হিংস্র হায়েনা ইসরায়েলিদের হাতে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনের মা-বোন, শিশুরা পাখির মতো হত্যার শিকার হচ্ছে। আজকে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজার যে ন্যক্কারজনক গণহত্যা চালাচ্ছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু সরকার কারও কথায় কর্ণপাত করছে না। এমনকি যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকেও তোয়াক্কা করছে না। সাম্প্রতিক সময়ে গাজার প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ৭০ হাজার নারী, শিশু ও পুরুষ আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। ২০ লাখ ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইসরায়েলের এ বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এরপুর বিশ্ব মুসিলম কেন তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের এ নৃশংস গণহত্যা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। যুদ্ধ বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফিলিস্তিন, আরাকানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সকল নির্যাতিত মানুষের মুক্তি কামনা করেন পীর সাহেব চরমোনাই।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, জাতীয় সাংস্কৃতিক চেতনার প্রধান দিন। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য পরম আনন্দের দিন। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করার পর এ দিনটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা পায়। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা- সার্ববৌমত্বও আজ হুমকির মুখে। ভারত সীমান্তে বিডিআরসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন