বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তনে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির বিকল্প নেই। সংগঠনের ভিশন ’৪৮ বাস্তবায়নে স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। জামায়াতের শহীদ নেতৃবৃন্দ তাদের জীবদ্দশায় সংগঠন পরিচালনায় যে অনন্য নজির রেখে গেছেন তা যুগ যুগ ধরে আমাদের জন্য আলোকবর্ষ হয়ে থাকবে। দুর্নীতি যখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে সেই অবস্থায়ও দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জামায়াত নেতৃবৃন্দ মন্ত্রী হয়েও রাষ্ট্রের সম্পদের আমানতদারিতার বিরল নজির স্থাপন করেছে। তাই আমাদের সাহাবায়ে কেরামের চরিত্র ও শহীদ নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
রোববার (২৬ মে) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে লিডারশিপ ট্রেনিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মুহা. কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মহানগর দক্ষিণের আব্দুস সবুর ফকির, মো. শামছুর রহমান প্রমুখ। এতে মহানগর দক্ষিণের আব্দুস সালাম, মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জাতির বৃহৎ স্বার্থে আমাদের গণমুখী নেতৃত্ব তৈরির বিকল্প নেই। জামায়াত একটি গণমুখী কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন। এই আদর্শভিত্তিক আন্দোলনে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষমতা গ্রহণ লক্ষ্য নয় বরং লক্ষ্য একটাই- আদর্শের বিজয়, দ্বীন ইসলামের বিজয়। একইসঙ্গে এই আন্দোলন গণমুখী আন্দোলন। এর জাগতিক লক্ষ্য দুনিয়ার সর্বস্তরের জনমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করে আখেরাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
সভাপতির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী- এই স্লোগানকে সামনে রেখে আদর্শ সমাজ গঠনে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠন করা সম্ভব। তাই মানবতার কল্যাণে, জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে ময়দানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু পাড়া-মহল্লায় নয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি গলি, প্রত্যেক বিল্ডিং ও ফ্ল্যাটে ইসলামের সুমহান আদর্শের আহ্বান পৌঁছে দিতে হবে। একইসঙ্গে নিজের যোগ্যতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দুনিয়ার মানুষের কল্যাণ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যাবতীয় কর্মতৎপরতা বজায় রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন