দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি চায়। জাতির এই দুঃসময়ে জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে প্রস্তুত। কিন্তু অনৈক্য ও বিভেদ তৈরি করতেও একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আন্দোলনে অনৈক্য-বিভেদ সৃষ্টি হয়, কারোই এমন কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র : শহীদ জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাওলানা হালিম।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে এই সভা হয়।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস যুক্ত করেছেন। তিনি বিভেদ-বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে কাজ করেছেন। ডান-বাম সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। সব দলকে সংসদে আনার ব্যবস্থা করেছেন। সব দল-মতের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানেও গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে যখন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, তখন আওয়ামী লীগ আবার এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার ফেরত পেয়েছিল। এ ছাড়া শহীদ জিয়ার উদারতায় দেশে ফেরত এসে দলীয় রাজনীতির হাল ধরেছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে শেখ হাসিনা এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করার ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য-বিবৃতি দিতে পারে। শহীদ জিয়া এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন না করলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, লেবার পার্টির জন্ম হতো না।
লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত বমহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্র মিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহসভাপতি এনামুল হক প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন