মালয়েশিয়ায় এক রাতের অভিযানে ১৫০ বাংলাদেশিসহ ৮৯৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। দেশটিতে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের আটক করতে নিয়মিত চলছে অভিযান।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির সেলাঙ্গার প্রদেশের পুলাউ ইন্ডাহ শিল্পাঞ্চলে প্রশাসনের সমন্বিত অভিযানে মোট ৮৯৮ বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১৫০ জন রয়েছে। জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে অভিযান চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।
সেলঙ্গার অভিবাসন বিভাগের পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামরুদ্দিন জানান, বিগত চার মাসের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শতাধিক দোকানপাট ও বাণিজ্যিক ভবনে তল্লাশি করা হয়।
সেলঙ্গার অভিবাসন বিভাগের পাশাপাশি মালয়েশিয়ান রয়েল পুলিশ, মেরিটাইম ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সি, এয়ার অপারেশনস ফোর্সেস, ক্লাং রয়েল সিটি কাউন্সিল এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের মোট ২৪২ জন কর্মকর্তা ও সদস্য অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
এ সময় অভিযানে মোট ১ হাজার ১৩২ জনের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হয়। এর মধ্যে ৮৯৮ জনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৬৪৩ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী যাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, এর মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নারী আছে কি না জানা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার ৬৪৩ জন, বাংলাদেশি ১৫০ জন, পাকিস্তানের ৩৫, মিয়ানমারের ৩৬, নেপালি ২৪ এবং ভারতীয় ১০ জন।
আটককৃত সব বিদেশি নাগরিককে সেলঙ্গার অফিসে রাখা হয়েছে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সেমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন বিপদে পাঠানো হবে বলে জানা কর্মকর্তা। এ সময় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাধারণ জনগণের পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদেরও অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। যারা দেশের চলিত আইন লঙ্ঘন করবে তাদের জন্য শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
তবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বলেন, অভিযানের সময় অনেক নিয়োগকর্তা কর্মীদের পাসপোর্ট দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এতে প্রমাণিত হয়, সবাই আইন লঙ্ঘন করেনি। তবে তিনি নিয়োগকর্তাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান করেন। অনিবন্ধিত অভিবাসী কর্মীদের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। কোনো অনিবন্ধিত কর্মী মালয়েশিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন